এলএসি মেনে চলতে হবে চীনা ফৌজকে, পূর্ব লাদাখে শান্তি ফেরাতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকারের তরফে এই বার্তা নয়াদিল্লির।
পূর্ব লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরাতে গেলে চীন ও ভারতদু’দেশের সেনাকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা(এলএসি)-র দু’দিকে আগের অবস্থানে ফিরতে হবে। বুধবার দিল্লিতে ‘ভারত-চীন সীমান্ত মেকানিজম’ (‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’ বা ডব্লিউএমসিসি)-এর বৈঠকে এই নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

দ্বিপাক্ষিক কূটনৈটিক স্তরের ওই বৈঠকের পরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বুধবার একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘শান্তি ও স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারএবং এলএসির প্রতি দায়বদ্ধতা হল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফেরানোর পথের একটি অপরিহার্য ভিত্তি।’’

ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছেবৈঠকে আলোচনা গভীর এবং গঠনমূলক ভাবে পরিস্থিতি সম্পর্কে দূরদর্শী পর্যালোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই প্রতিষ্ঠিত কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে এলএসি-তে শান্তি বজায় রাখার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে

প্রসঙ্গত২০২০ সালের এপ্রিলে পূর্ব লাদাখের এলএসি পেরিয়ে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র অনুপ্রবেশের পরেই অশান্তির সূচনা হয়। কূটনৈতিক এবং সেনা স্তরের আলোচনার মধ্যেই ২০২০-র ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবিচিনা ফৌজের হতাহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। শেষ পর্যন্ত ২০২১ অক্টোবরে কোর কমান্ডার স্তরের ত্রয়োদশ বৈঠকে প্যাং‌গং হ্রদের উত্তর দক্ষিণ তীরগালওয়ানের মতো এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করা হলেও পূর্ব লাদাখের অন্য কয়েকটি এলাকা নিয়ে এখনও দু’পক্ষের মতবিরোধ রয়ে গিয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক