ইস্ট এশিয়া সামিটে জয়শঙ্কর সাফ বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের পথ ঘিরে নির্দিষ্ট আচরণবিধি থাকা দরকার, তাতেই শান্তি আসবে
লাওসের ভিয়েনতিয়েনে সদ্য সমাপ্ত আসিয়ান-ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রধানতম কেন্দ্র আসিয়ান। ভারতের নীতি আসিয়ানের কেন্দ্রীয়তার প্রতি সর্বদাই অটুট ছিলো, আছে ও থাকবে।”
মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, “আসিয়ানের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার। আমরা ক্রমাগত সম্পর্কোন্নয়নের দিকে হাঁটছি। মনে রাখতে হবে, প্রতিনিয়ত আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে।”
আসিয়ানের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে জয়শঙ্কর বলেন, “২০২২ সাল হতে ভারত-আসিয়ান সম্পর্ক ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে। ভারত দৃঢ়ভাবে আসিয়ানের কেন্দ্রীয়তা সমর্থন করে। সবার নিশ্চয়ই মনে আছে, গতবছরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতিকরণের ১২ দফা দিয়েছিলেন।”
এছাড়া, এই সফরে ১৪তম ইস্ট এশিয়া সামিটের বিদেশমন্ত্রীদের সভায় যোগ দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে গাজা ইউক্রেন ইস্যুতে দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কয়। নিজ বক্তব্য প্রদানকালে কার্যত বিশ্বের কূটনৈতিক মহলের একের পর এক প্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে ভারত কী ভাবছে, তা জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কার্যত তাঁর কৌশলী বার্তার নিশানায় ছিল চীন।
ভিয়েৎনামে ইস্ট এশিয়া সামিটের মঞ্চ থেকে জয়শঙ্কর সাফ বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের পথ ঘিরে নির্দিষ্ট আচরণবিধি থাকা দরকার, তাতেই শান্তি আসবে বলে তাঁর মত। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের সমুদ্রপথের সংযোগ, ইন্দো পেসিফিকের শান্তি, স্থিরতা, সমৃদ্ধির জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়।’ 
তিনি সাফ বার্তা দেন যে, দক্ষিণ চীন সাগরের পথে সংযোগের সুরক্ষা আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার জন্য জরুরি। এক্ষেত্রে তিনি একটি আচরণ বিধির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে ও বৈঠকের অংশ নয়, এমন দেশগুলির স্বার্থ ও ন্যায্য অধিকার খর্ব না করে, তৈরি করা দরকার এই বিধি।’
তিনি সাফ বার্তা দেন যে, দক্ষিণ চীন সাগরের পথে সংযোগের সুরক্ষা আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার জন্য জরুরি। এক্ষেত্রে তিনি একটি আচরণ বিধির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে ও বৈঠকের অংশ নয়, এমন দেশগুলির স্বার্থ ও ন্যায্য অধিকার খর্ব না করে, তৈরি করা দরকার এই বিধি।’
ইউক্রেন ইস্যুতেও দিল্লির মনোভাব জানিয়ে দিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি লেখেন, ‘ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেছেন। যেকোনও সম্ভাব্য বিষয়ে ভারত এগিয়ে আসতে প্রস্তুত।’ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক